আ’লীগ সরকারের সাফল্য কামনা বৃটিশ স্পিকারের

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫ সময়ঃ ৩:২০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:২০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম

Pmsm_724816477বাংলাদেশে শান্তি ও গণতন্ত্র অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা সফররত ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের স্পিকার ব্যারোনেস ডি সুজা।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ব্রিটিশ স্পিকার।

 গণভবনে আজ শনিবার সকালে এই সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ব্যারোনেস ডি সুজা।

এই ধারা অব্যাহত থাকলে আওয়ামী লীগ সরকারের ভিশন ২০২১ সফলভাবে অর্জিত হবে বলেও মনে করেন এই ব্রিটিশ নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী বৈঠকে আলোচনার বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের জানান।

একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করছেন ব্যারোনেস ডি সুজা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসের স্পিকার শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিজ্ঞতাকে অসাধারণ উল্লেখ করে বলেন, এমন একটি কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষকে একতাবদ্ধ করে রাখবে।

কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেওয়ার যে বিরল সম্মান বাংলাদেশ অর্জন করেছে তার প্রশংসা করে ডি সুজা বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টারই ফসল।

তিনি মনে করেন, এই দুটি সংস্থায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব সারা বিশ্বে সংসদীয় প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে। প্রধানমন্ত্রী এসময় সংসদীয় গণতন্ত্রে কমনওয়েলথের ভূমিকার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে কমনওয়েলথ যে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অসাধারণ উল্লেখ করে ব্যারোনেস ডি সুজা তা অর্জনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ দেখালে প্রধানমন্ত্রী তাকে দেশে ২০টি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগ সুবিধাগুলোর কথা জানান। তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান বিনিয়োগ নীতি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও বিনিয়োগবান্ধব।

গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কিভাবে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়েও কথা হয় দুই নেতার। বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যাযে ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে জেনে তারও প্রশংসা করেন ডি সুজা। তিনি বলেন, আইসিটি খাতে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এগুলো তারই প্রমাণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নারী উন্নয়ন ক্ষমতায়নের পথে একজন আইকন হিসেবে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ হাউজ অব লর্ডসের স্পিকার। তিনি এসময় জাতীয় সংসদের প্রধান চারটি পদেই নারীর অবস্থানকে একটি বিরল উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় দেশের সেনাবাহিনী, সরকারি উচ্চপদ, শিক্ষা সংস্কৃতি, শ্রমশক্তি বিভিন্ন খাতে নারীর অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন।

ব্যারোনেস ডি সুজা এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী বিপ্লব ঘটে গেছে বলে উল্লেখ করেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সচিব আশরাফুল মকবুল, ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/রাজ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G